• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
রিমান্ডের আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, ৪ পুলিশ সদস্য আহত
সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু গ্রেপ্তার
বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরা থেকে রাত ৯টায় ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, শম্ভুর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় অনেকগুলো মামলা রয়েছে। তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর পৈতৃক বাড়ি বরগুনার সদর উপজেলার সরকারি হাইস্কুল সড়ক এলাকায়। তিনি পেশায় আইনজীবী হলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সাতবার তিনি মনোনয়ন পেয়ে পাঁচবারই হন সংসদ সদস্য। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যান। ১৫ বছরে তিনি ও তার সহযোগীরা হয়েছেন বিত্তশালী। আরটিভি/এমকে-টি
ইয়াবাসহ শ্রমিক লীগের সভাপতি আটক 
ক্রেস্টে শেখ হাসিনার নাম, সমালোচনার ঝড়
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে গাছ পড়ে একজনের মৃত্যু
আমতলীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
গভীর সমুদ্রে ভারতীয় জেলেদের দাদাগিরি
ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার সময়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ৩১ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। এ সময় ভারতীয় পতাকাবাহী দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার এসব ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশি জেলেরা উভয় দেশে একই সময়ে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দাবি করেছেন।  জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ১২ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। এ কারণে নদীতে ও সাগরে বাংলাদেশি জেলেরা ইলিশ ধরা থেকে বিরত রয়েছেন। কিন্তু এই সময়ে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে ইলিশ শিকার করে যাচ্ছেন।  ভারতীয় ৩১ জেলেকে আটকের বিষয়  নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ অঞ্চল-ভোলার মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ও অবৈধ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড অভিযান পরিচালনা করছে। এর অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার দুটি ট্রলারসহ ভারতীয় ৩১ জেলেকে আটক করা হয়েছে।’  বাংলাদেশি জেলেদের অভিযোগ, সাগরে তাদের সঙ্গে দস্যুর মতো আচরণ করেছে ভারতীয় জেলেরা। হ্যান্ডমাইকে বাংলাদেশি জেলেদের সরে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। সরতে না চাইলে ইট-পাথর নিক্ষেপ করছে; জাল কেটে দিচ্ছে। ভারতীয় জেলেদের ট্রলারে ছয় সিলিন্ডারের শক্তিশালী ইঞ্জিন। ধাক্কা দিয়ে তারা বাংলাদেশি ছোট ছোট ট্রলারকে ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।  বরগুনার পাথরঘাটার জেলে মোহাম্মদ আলম মাঝি বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে আমাদের অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিত। ভারতীয় জেলেদের দ্বারা আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পেতাম না। উল্টো আমাদের ধমকিয়ে রাখত। এবার যদি ভারতীয় জেলেদের ফিরানো যায় তাহলে আগামী বছর দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।’  মোহাম্মদ নুহু নামের এক জেলে বলেন, ‘ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় চালনার বয়া, মাইজদার বয়া, বড়ইয়ার চর, ফেয়ারওয়ের বয়া, বড় আমবাড়িয়া, ডিমের চর, সোনার চর, কবরখালীসহ ইলিশ বিচরণের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসে মাছ শিকার করে।’  বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহসভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী বলেন ‘আগের সরকার ভারতের পাতানো নিষেধাজ্ঞা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতীয়দের ইলিশ ধরার সুযোগ করে দিয়েছে। এ সুযোগে ভারতীয়রা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এসে ইলিশ শিকার করছে। এই পাতানো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ভারত ও বাংলাদেশে একত্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর চাই।’  গত মঙ্গলবার দেওয়া নৌবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিএনএস আখতার উদ্দিনের টহল চলাকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বিদেশি পতাকাবাহী দুটি ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা হয়। এ সময় ট্রলার দুটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু নৌবাহিনীর জাহাজ ট্রলার দুটিকে বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরেই আটক করতে সক্ষম হয়।  আটক ট্রলার দুটিতে মোট ৩১ জন সদস্য ছিলেন। তাঁদের বাড়ি ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে। ট্রলার দুটি পটুয়াখালীতে এনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটকদের কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে নৌবাহিনী।  দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড ভোলা জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ জানান, ‘দেশীয় জলসীমায় ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেশ ঘটনা রয়েছে। তবে সামনের দিনগুলোতে কঠোর হয়ে টহল জোরদার করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় জেলে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আমরা আর নিতে চাই না। এ জন্য গভীর সমুদ্রে জাহাজের পাশাপাশি স্পেশাল টহলের জন্য ইতিমধ্যে অতিরিক্ত শক্তিশালী ট্রলার ও স্পিডবোট প্রস্তুত করা হয়েছে।’  কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুয়েল ইসলাম জানান, ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পটুয়াখালী জেলা কারাগারে রয়েছেন। আরটিভি/এসএপি
আরটিভির সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, প্রধান শিক্ষককে শোকজ 
বরগুনার পাথরঘাটায় আরটিভির সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশিদকে শোকজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত সোমবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দীপক কুমার বিশ্বাসের স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে শোকজ করা হয়েছে। জানা গেছে, পাথরঘাটায় ১৪৩ নং উত্তর মানিকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশিদ। এ ঘটনায় আরটিভিতে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।  উপজেলা শিক্ষা অফিসের ওই পত্রে বলা হয়েছে, মো. হারুন-অর রশিদ ১৪৩নং উত্তর মানিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) পদে কর্মরত আছেন। জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির পাথরঘাটা প্রতিনিধি তাওহীদুল ইসলাম শুভ, গত ৭ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার সময় আপনার বিদ্যালয়ে গিয়ে আপনার উপস্থিত না পাওয়াসহ বেশ কিছু বিচ্যুতি ও অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর দাখিল করেছেন।  এতে আরও বলা হয়েছে, আপনি কেন ওই সময়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন? আপনি বিদ্যালয়ে সকালে এসে চলে গেছেন এবং কোথায় গিয়েছিলেন? আপনার অনুপস্থিতি ও গমনে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার কর্মকর্তার অনুমোদন ছিল কিনা? কেন স্থানীয় ইউপি সদস্য পান্না মিয়া আপনার বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়ে আসা ও ঠিকমত বিদ্যালয়ে না থাকার অভিযোগ করেছেন। কেন একই দিনে দুই জন সহকারী শিক্ষককে ছুটি দিয়েছেন? কেন একজন শিক্ষক একটি শ্রেণি কক্ষে (৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির) একসাথে ৩টি ক্লাস নিচ্ছিলেন? ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম এই ৩টি শ্রেণিতে ভর্তিকৃত ১৬ জন শিক্ষার্থী মধ্যে উপস্থিত পাওয়া যায় মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থী? কেন সাংবাদিকের সাথে ফোন করে দুর্ব্যবহার করলেন? তার সন্তোষজনক উত্তর আগামী ৭ দিনের মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দীপক কুমার বিশ্বাসের নিকট দাখিল করবেন। অন্যথায়, আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে সুপারিশ করা হবে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীপক কুমার বিশ্বাস জানান, প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশিদকে ইতোমধ্যে শোকজ করে অভিযোগের জবাব চাওয়া হয়েছে। তার অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত কমিটি করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হবে।   উল্লেখ্য, উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ১৪৩ নং উত্তর মানিকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম অভিযোগ পেয়ে গত ৭ অক্টোবর সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম শুভ। এর পরেই মুঠোফোনের মাধ্যমে ওই প্রধান শিক্ষক অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং বলেন বিদ্যালয় থেকে রবের না হলে দেখে নিবেন ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ কারেন সাংবাদিক শুভ। আরটিভি/এসএপি
পাথরঘাটায় সাংবাদিককে হুমকি, থানায় জিডি
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ১৪৩ নম্বর মানিকখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের অভিযোগের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম শুভকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মেহেদী হাসান। এ ঘটনায় পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে জরুরি সভা ডেকে সাংবাদিকরা নিন্দা প্রকাশ করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সাংবাদিক তাওহীদ শুভ আরটিভির পাথরঘাটা প্রতিনিধি। তাওহীদুল ইসলাম শুভ জানান, প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশিদ মাসে দু-একদিন বিদ্যালয়ে আসেন, তখন হাজিরা খাতায় পুরো মাসের স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান। এ ছাড়াও নিয়মিত পাঁচজন শিক্ষক উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ২ জন পালাক্রমে উপস্থিত থাকেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে গত ৭ অক্টোবর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিন গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়।  সাংবাদিক শুভ জানান, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশিদের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে আমাকে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। নাহলে অনুমতি না নেওয়ার কারণে মামলা দেবেন বলেও জানান তিনি। পরবর্তীতে ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং নিউজ করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। শুভ আরও জানান, প্রধান শিক্ষক হারুন-অর রশিদের এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য আনার পর থেকে পুনরায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে নিউজ বন্ধ করতে চাপ প্রদান করে।  এ ঘটনায় পাথরঘাটা প্রেস ক্লাব নিন্দা জানিয়েছে। প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ঘটনার বলেন, একজন সংবাদ কর্মী তথ্যের প্রয়োজনে সর্বত্র যাবে। সেজন্য তাকে প্রা নাশের হুমকি দেবে এটা মানা যায় না। আমি ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ‌ এ বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মা মণি বেগম জানান, আশেপাশে কোন স্কুল না থাকায় বাধ্য হয়ে এ স্কুলে আমার এক ছেলে ও মেয়েকে পড়াচ্ছি। তবে এখানে পড়ালেখার কোনো মান নেই। শিক্ষকরা স্কুলটা বাড়ি বানিয়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ জানান,  আমি এখনও কিছু শুনিনি। তবে সাংবাদিককে তথ্য চাইতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি পাবে, এটা মানা যায় না। এ রকম কিছু করে থাকলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নি নেব। এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, তাওহীদুল ইসলাম শুভ পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ ডায়রির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান বলেন, সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরটিভি/এফআই
বরগুনায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সভায় মারামারি, অস্ত্রসহ আটক ১
বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনুষ্ঠানে স্থানীয় ২ সমন্বয়কের গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক যুবককে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জোনের বিভাগীয় ছাত্র জনতা মৈত্রী সফরের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ওই সভার একপর্যায়ে নেতৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার পূর্ব বিরোধের জেরে বরগুনার সমন্বয়ক দাবি করা মীর নিলয় ও আরেক সমন্বয়ক দাবি করা রেজাউল করিম গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি থেকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারি শুরু হলে পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং প্রথম দফার সভা সংক্ষিপ্ত করা হয়। তবে এ সময় শিল্পকলার বাইরে একদল বিক্ষিপ্ত শিক্ষার্থী মীর নিলয়কে ছাত্রলীগের দোসর আখ্যায়িত করে স্লোগান দিতে থাকেন এবং তারা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিয়াকে নিলয় গ্রুপের মাধ্যমে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়। পরে বিকেলে দ্বিতীয় দফার সভা শুরু হলে সভাস্থলে বরগুনা থানাপাড়ার অনিক নামে একজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিল্পকলায় প্রবেশ করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে। মতবিনিময় সভার মঞ্চে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আট সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, সানজানা আফিফা অদিতি, এম এ সাঈদ, হাসিবুল ইসলাম শান্ত শহিদুল ইসলাম শাহেদ, তৌহিদ আহমেদ আশিক, জিহাদ হোসাইন, সাব্বির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আব্দুল হান্নান মাসুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের সময় কোনো দল দেখিনি। এখন কেন দল নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। আন্দোলনের শুরুতে যারা ছিলো তারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন। কোনো দখলবাজ, চাঁদাবাজকে আমরা জায়গা দেব না। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ৫ আগস্ট থেকে ক্ষমতা দেখানোর রাজনীতি বন্ধ হয়েছে। দখলবাজির রাজনীতির অবসান হয়েছে। বরগুনায় দুপক্ষের মধ্যে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করা একটি পক্ষের নেতা রেজাউল করিম ও তার সমর্থকরা জানান, ছাত্রলীগের নামধারী নেতা মীর নিলয় আন্দোলনের সময় কোনো ভূমিকা রাখেনি। এখন তিনি বরগুনার সমন্বয়ক দাবি করছেন। তিনিসহ তার লোকজন সভা চলাকালে তাদের ওপর হামলা করে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকার পতনের আন্দোলনে সময় মীর নিলয়ের বাসায় হামলা করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বরগুনার আরেক পক্ষের সমন্বয়ক দাবি করা মীর নিলয় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সমন্বকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যে ঘটনা ঘটেছিল তা অবসান হয়েছে। সমন্বয়ক রেজাউল লোকজন নিয়ে আমার গায়ে হাত তুলেছিল। এখন সমস্যা নেই।’ বরগুনা সদর সর্কেলের পুলিশ সুপার আবদুল হালিম বলেন, ‘শিল্পকলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভায় দুপক্ষের হাতাহাতি ঘটনা ঘটলে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এছাড়াও অনিক নামের একজনকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে পেটানো কে এই যুবক
বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশিদকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লার বিরুদ্ধে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মারধরের ঘটনাটি ঘটে। ভাইরাল ৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর রশিদকে চড়-থাপ্পড় মারছেন শাওন মোল্লা। এ সময় এক পথচারী শাওন মোল্লাকে বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন তিনি। এরপর সদর থানার পুলিশ সদস্য আলমগীর হোসেন এসে শাওন মোল্লাকে সরিয়ে দেন। ভিডিওতে আবদুর রশিদকে বলতে শোনা যায়, আমি কখনো আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে ছিলাম না। কোনো দুর্নীতি করিনি। যদিও এ সময় শাওন মোল্লা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। একজন বয়স্ক মানুষকে মারধরের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, একজন বৃদ্ধ লোকের সঙ্গে এমনটা না হলে ভালো হত। তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তার জন্য আইন আছে। বিষয়টি দুঃখজনক। তবে বরগুনা জেলা বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল রশিদ মিয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন নেতার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এ ছাড়া, তার সুপারিশে কয়েকজন বিএনপির নেতার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়েও ক্ষিপ্ত ছিলেন শাওন মোল্লা। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাই। সেখানে ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লাসহ আরও অনেক উপস্থিত ছিল। আমাকে শাওন ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে নানা ভাষায় গালাগালি করে। সেখানে অনেক লোক ছিল। আমি এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিব। বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়ে শাওন মোল্লা বলেন, আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাই। পরে তার সঙ্গে আমার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাকে আমি মারধর করি। এ ছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমার বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে পরিচিত।
বউয়ের অত্যাচারে চিরকুট লিখে স্কুলশিক্ষকের আত্মহত্যা
বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চিরকুট লিখে আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক স্কুলশিক্ষক। নিহতের নাম নজরুল ইসলাম। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু। নিহত নজরুল আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকার মো. খালেক খাঁনের ছেলে। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, দেড় বছর আগে নজরুল ইসলামের সঙ্গে আমতলীর হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকার দুলাল ভূঁইয়ার মেয়ে খাদিজা বেগমের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে তাদের দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ লেগেই থাকত। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে শনিবার সকালে স্ত্রী খাদিজা বেগম তার বাবার বাড়ি চলে যান। কারণ হিসেবে তিনি তার ভাসুর ফেরদৌস খাঁনকে বলে যান রাতে তার স্বামী নজরুল তাকে মারধর করেছেন। ওই দিন শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে একটি আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নজরুল ইসলামকে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে আমতলী থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’ লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। নিহত শিক্ষক নজরুল ইসলামের বড় ভাই ফোরদৌস খাঁন বলেন, ‘স্ত্রীর অত্যাচারের কারণে আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে, এমন একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানাই।’ এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’