• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo
তাড়াশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনি ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মাথা ন্যাড়া করে দুধ দিয়ে যুবকের গোসল
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হাসেম আল ওসামা (২০) নামে এক যুবকের টানা চার বছর একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর সেই প্রেমিকা তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের ইতি টেনে অন্যত্র বিয়ে করায় ‘রাগে ও ক্ষোভে’ নিজের মাথা ন্যাড়া করে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন ওসামা। সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  প্রেমে ব্যর্থ হাসেম আল ওসামা ওই গ্রামের মো. শাহাজান আলীর ছেলে। তিনি সলঙ্গা ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। হাসেম আল ওসামা বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি সদরের এক মেয়ের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমার সব কিছু মেনে নিয়ে সে আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমাকে ছাড়া জীবনে অন্য কাউকে বিয়ে করবে না বলেও সে শপথ করেছিল। কিন্তু কয়েক দিন আগে আমি বেকার সেই অজুহাত দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটায় আমার প্রেমিকা। বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারিনি। ভেবেছিলাম আত্মহত্যা করব।’ ওসামা বলেন, ‘পরিবারের কথা ভেবে এবং বন্ধুদের পরামর্শে প্রেমের ব্যর্থতার শোক কাটাতে শতাধিক মানুষকে সাক্ষী রেখে মাথা ন্যাড়া করে সোনা-রূপা, গোলাপ ফুলের পাঁপড়ি ও ২০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেছি।’ ওসামা আরও বলেন, ‘আমি ২০ লিটার দুধ দিয়ে গ্রামবাসীর সামনে গোসল করি। শপথও করেছি যে, জীবনে আর কোনোদিন প্রেম করব না। বিয়েও করব না কোনোদিন।’ শ্রীকৃঞ্চপুর গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘হাসেম আল ওসামা একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেন। পরে সেই প্রেমিকা অন্যত্র বিয়ে করায় তিনি দীর্ঘদিনের চুল, দাড়ি কেটে ও দুধ দিয়ে গোসল করেছেন।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাড়াশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ছেলেটির সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। এতে মনক্ষুণ্ন হয়ে রাগে-ক্ষোভে হাসেম নিজ মাথা ন্যাড়া করে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন।
সরকারি জমি দখল করে ইউপি সদস্যের ঘর নির্মাণ
শ্রেণিকক্ষেই ঘুম, ছবি তোলায় অপর শিক্ষককে মারধর
তাড়াশে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে প্রেমিকা
সিরাজগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় ট্রাক্টর চালক নিহত
সিরাজগঞ্জে পুকুরে গোসলে নেমে ২ বোনের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ইয়াফি (৮) ও ইশা (৬) নামের দুটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা আপন দুই বোন। শনিবার (১ জুন) দুপুরের দিকে তাড়াশ পৌরসভার কোহিত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বাবুল সেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এলাকাবাসী বলছে, ইয়াফি ও ইশা তারা কোহিত গ্রামের হজরত আলীর মেয়ে। কোহিত গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে ইয়াফি ও ইশা গোসল করার জন্য বাড়ির পাশের পুকুরে নামে। অনেক সময় বাড়িতে না আসায় তার মা তাদের খুঁজতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরের পানিতে তাদের ভাসতে দেখেন মা। সেখান থেকে দুই বোনকে উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।  তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সিরাজুম মুনিরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
অন্তরঙ্গ সম্পর্কের পর পালিয়েছেন প্রেমিক, অতঃপর....
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক প্রেমিকা। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার তালম ইউনিয়নের সিলেট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, এই গ্রামের জামাল মুন্সির ছেলে মহিবুল্লাহ সঙ্গে চার বছর আগে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। ওই সময় থেকে মহিবুল্লাহ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। রোববার মহিবুল্লাহ তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। আমি এখন তাকে বিয়ে না করে তার বাড়ি থেকে যাব না। ঘটনা জানাজানি হবার পর মহিবুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।   এ বিষয়ে তাড়াশ অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
নিখোঁজের ৫ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফ হোসেন নামে এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জেলার তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি বাজারের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।  মরদেহ উদ্ধার হওয়া মারুফ হোসেন তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। মরদেহ উদ্ধার অভিযান চলাকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন বিপিএম জানান, গত ৫ তারিখে তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের ঝরঝুরি বাজার থেকে মাদরাসা ছাত্র মারুফ হোসেন নিখোঁজ হওয়ার পরদিন তাড়াশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও র‌্যাব-১২ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পর দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ হোসেনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা। র‌্যাব-১২ অধিনায়ক মারুফ হাসান বিপিএম আরও জানান, মাদরাসা ছাত্র কিশোরকে অপহরণ করার পর থেকে তার বাবার নিকট মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল, এমনকি তাকে হত্যা করার পরও মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ব্যাপক তদন্ত করা হচ্ছে।
স্বামী-স্ত্রীকে মারধর, বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার পরিবার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বামী-স্ত্রীকে ঘরে আটকিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মেয়ে ও জামাতাকে মারধরের খবর শুনে তাদের বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন বাবা-ছেলে-পুত্রবধূসহ অনেকেই। আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সান্তান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, স্থানীয় নওশের, বিপুল ও রাজ্জাক বাহিনী অতর্কিতভাবে এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারধর করেছেন। স্থানীয়সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ আল বায়েদীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সন্তান গ্রামের নুরুল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের ও বিপুলদের পারিবারিক কোন্দল চলে আসছিল। এর জের ধরে আজ সন্ধ্যায় সবাই যখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখন অতর্কিত নুরু ও তার স্ত্রী সাগরীকে ঘরে আটকিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে সাগরীর দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং স্বামী নুরুসহ গুরুতর আহত হয়।  এ খবর পেয়ে সাগরীকে প্রাণে বাঁচাতে এগিয়ে যান একই গ্রামের তার পিতা কোরবান আলী (৭০), ভাই আমিরুল ইসলাম (৩২), ভাইয়ের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন পলি (৩০)। এসময় তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। কোরবান আলীদের বাঁচাতে এগিয়ে যান তার ভাই-ভাতিজারা। এসময় নওশের ও বিপুল গংদের সঙ্গে যোগ দেন আব্দুর রাজ্জাক বাহিনী। এই বাহিনীর আবদুর রাজ্জাক, রাজেদুল, কছের, এমদাদুল, মিলন, লুৎফর, জাহাঙ্গীর, শরিফ, শাকিলসহ অনেকেই দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কোরবান আলীর আত্মীয় স্বজনের উপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে। তাদের হামলায় আরও আহত হয়, স্কুল শিক্ষক এনামুল হক, কোরবান আলী, আমিরুল ইসলাম, আম্বিয়া খাতুন পলি, নুরুল ইসলাম ও ডা: ওসমান গনিসহ ১০-১২ জন। আহতদের মধ্যে সাগরী, কোরবান আলী, আমিরুল ও আম্বিয়া খাতুনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।  এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় একজন থানায় এসেছেন অভিযোগ দিতে। অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্লীলতাহানির অভিযোগে সেই এএসআই ক্লোজড
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদক তল্লাশির নামে এক আদিবাসী গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সন্তোষ কুমারকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাতে এক আদেশে পুলিশ সুপার ওই এএসআইকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেন। আর গৃহবধূর শ্লীলতাহানির বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  এর আগে, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে অভিযুক্ত এএসআই সন্তোষ কুমার মাদক তল্লাশির নামে তাড়াশ উপজেলার দেশিগ্রাম ইউনিয়নের গুড়পিপুল যশাইপাড়া গ্রামের এক আদিবাসী গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় এক ভিডিও বার্তায় বিচার দাবি করেন ওই গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আরটিভি অনলাইনে ‘তল্লাশির নামে আদিবাসী নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপারের (এসপি) নজরে আসে। সংবাদটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিষয়টি সরেজমিন তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল।
তল্লাশির নামে আদিবাসী নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদক উদ্ধারে তল্লাশির নামে এক আদিবাসী গৃহবধূকে (৩২) শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে তাড়াশ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নিজ ঘরে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ। তার এ অভিযোগের একটি ভিডিও শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে আদিবাসী গৃহবধূকে বলতে শোনা যায়, ‘সন্তোষ দারোগাকে আমি চিনি না। তিনি তাড়াশ থানার দারোগা এ পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে আমার পুরো শরীর চেক করেন। আমি নাকি মদ বিক্রি করি এ কথা বলে চেক করেন। আমি এগুলো করি না বললেও শরীরে হাত দিয়ে চেক করেন। পরে আমার ঘরে থাকা যুবতি মেয়ে লজ্জায় দৌড়ে গিয়ে আমার মাকে ডেকে আনেন। এরপর আমার মা দৌড়ে এসে এমন অবস্থা দেখার পর সন্তোষ দারোগার পায়ে ধরেন। তারপরও তিনি আমাকে থানায় নেওয়ার হুমকি দেন। অথচ আমার শরীর চেক করে তিনি কিছুই পাননি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’ ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘এ ঘটনার দিন আমি কৃষিকাজে নাটোরের সিংড়ায় ছিলাম। পরের দিন বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী ও মেয়ের কাছে ঘটনা শুনে বিস্মিত হয়েছি। ওই পুলিশ আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মদ বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ এনে শরীরে হাত দিয়েছেন।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত তাড়াশ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সন্তোষ কুমার বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। ওই নারী মাদক ব্যবসায়ী। তাকে আটক করতে অভিযান চালানো হয়েছিল। অভিযানে মাদক পাওয়া যায়নি। এজন্য তাকে আটক করা হয়নি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। তাড়াশ থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই গৃহবধূ মাদক বিক্রি করেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে এএসআই সন্তোষ কুমার ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে ওই নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ করায় পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানিয়েছি।’ এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত রয়েছি। বিষয়টি তাড়াশ থানার সার্কেল এসপিকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।