• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১
logo
সংস্কার শেষে এ বছরেই নির্বাচন সম্ভব: আযম খান
কুপ্রস্তাব দেওয়ায় রুবেলকে হত্যা, অতঃপর...
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে কৃষক রুবেল মিয়া (৩৫) হত্যা মামলায় এক নারীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে র‌্যাব-৪ এর একটি দল এ হত্যার হোতা বিজয় (১৯) ও শ্রাবনী আক্তারকে (১৮) উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত বিজয়ের সঙ্গে শ্রাবণী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ৫ দিন আগে কৌশলে শ্রাবণীর মোবাইল থেকে স্পর্শকাতর কিছু ছবি নিজের মোবাইলে নেয় রুবেল মিয়া। এরপর শ্রাবণীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি জানার পর ক্ষিপ্ত হয় বিজয়। রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর গত ৬ নভেম্বর শ্রাবণীকে দিয়ে রুবেলকে নদীর পাড়ে ডেকে নেওয়া হয়। পরে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও ছুরিকাঘাতে রুবেলকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয় তারা। নিখোঁজের দুদিন পর গতকাল শুক্রবার দুপুরে ফোর্ডনগর এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে র‍্যাব ও পুলিশ। এ বিষয়ে র‌্যাব-৪ মানিকগঞ্জ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আরিফ হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি বিজয় এবং শ্রাবনী দুজনের রুবেলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আরটিভি/এফআই/এসএ
মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ২ যুবকের
মমতাজসহ আ.লীগের ১০৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যা, মরদেহ মিলল সিন্দুকে
মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অর্থাভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন সংগীতশিল্পী খোকন 
বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত কণ্ঠশিল্পী মনিরুল ইসলাম খোকন অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলেও অর্থাভাবে করতে পারছেন না চিকিৎসা। তার হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাভাবিক স্পন্দন ফিরিয়ে আনতে পেসমেকার স্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। টাকার অভাবে পেসমেকার স্থাপন করার সক্ষমতা নেই এ সংগীতশিল্পীর। বর্তমানে কণ্ঠশিল্পী মনিরুল ইসলাম খাকন মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের খান বানিয়ারা নিজ গ্রামের বাড়িতে শয্যাশায়ী। সেখানেই বিনা চিকিৎসায় দুর্বিষহ দিন পার করছেন তিনি। জানা যায়, মনিরুল ইসলাম একাধারে সুরকার, গীতিকার ও সংগীতশিল্পী। তিনি শাস্ত্রীয় সংগীতের ওপর ঢাকায় বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে সংগীতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সহস্রাধিক গান রচনা করেছেন। ১২০টি গানে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভিতে গান পরিবেশন করেছেন এ সংগীতশিল্পী।  এ ছাড়া তার লেখা অনেক গান গেয়েছেন দেশের স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পীরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার নিজের লেখা গানে নিজেই সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন। সংগীতে অবদানের জন্য পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। সম্প্রতি সরেজমিনে খান বানিয়ারা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সংগীতশিল্পী মনিরুল ইসলাম শয্যাশায়ী। ধুলো জমেছে হারমোনিয়াম, বেহালা ও গিটারে। একান্ত আলাপে কণ্ঠশিল্পী মনিরুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘১৯৭৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হই আমি। এরপর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার অনেক অর্থ খরচ হয়েছে। গান শিখিয়ে, বেতার ও বিটিভিতে গান গেয়ে একসময় নিয়মিত সম্মানি পেতাম। ২০১৯ সালে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরই অর্থসংকটে পড়ি। কয়েক মাস আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আমার হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাভাবিক স্পন্দন ফিরিয়ে আনতে পেসমেকার স্থাপন করা প্রয়োজন।’ অনেকটা অভিমান আর আক্ষেপের সুরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বেতারের এ শিল্পী বলেন, ‘এক সময় কত বড় বড় সুরকার, গীতিকার ও শিল্পীর সঙ্গে আমার ওঠাবসা ছিল। এখন আমি শয্যাশায়ী, এখন কেউ আর খোঁজ নেন না। আমি আবার গানে ফিরতে চাই।’ এ সময় নিজেদের অর্থাভাবের কথা স্বীকার করে লজ্জায় কাউকে বলতে পারেন না বলে জানান মনিরুল ইসলাম খোকনের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন- আমার স্বামীর বুকে একটি পেসমেকার স্থাপন করা গেলে তিনি বেঁচে যাবেন। এতে ৮–১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে একজন শিল্পী বিনা চিকিৎসায় ধুঁকছেন, কেউ দেখার নেই। আমি অসহায়। কতটা অসহায় বলে বোঝাতে পারবো না। আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। সেই সঙ্গে স্বামীকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চাইতে বাধ্য হচ্ছি। যদি কোনো হৃদয়বান মানুষ আমাদের এই বিপদে এগিয়ে আসেন, কৃতজ্ঞ থাকবো।’
প্রশংসা কুড়াচ্ছে ‘গোশত সমিতি’
ঈদের আগমুহূর্তে অস্থির হয়ে উঠেছে মাংসের বাজার। সারাদেশে গরুর মাংসের দাম কেজিতে কোথাও ৩০, কোথাও ৫০ টাকা বেড়েছে। ফলে নিম্নবিত্তদের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে গরুর মাংস। নিম্ন-মধ্যবিত্তও পড়ছেন দুচিন্তাই। তবে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার আশার আলো ব্যতিক্রমী ‘গোশত সমিতি’।  স্থানীয়দের ভাষায় এই সমিতির নাম ‘গোশত বা মাংস সমিতি’। অনেকের কাছে ‘গরু সমিতি’ নামেও পরিচিত। উপজেলার ধল্লা ইউনিয়ন ছাড়াও জয়মন্টপ, জামির্ত্তা, চান্দহর, বায়রা, তালেবপুর, শায়েস্তা, চারিগ্রাম, জামশা ও সিংগাইর সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের আরও অনেক সমিতি গড়ে উঠেছে। জানা গেছে, সিংগাইরে গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ৩০ থেকে ১০০ জন মিলে গঠিত হয় মাংসের সমিতি। প্রতিবছর বাড়ছে মাংস সমিতির সংখ্যা। আগের বছর ঈদের পরপরই গঠিত হয় এ সমিতি। এতে অন্তর্ভুক্ত প্রতিজন সদস্য মাসে মাসে সমিতিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখেন। ঈদের আগে জমাকৃত অর্থ দিয়ে পশু কেনা হয়। শবেকদরের দিন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এই পশু জবাই করে গোশত সমিতির প্রত্যেক সদস্যকে ভাগ করে দেওয়া হয়। এতে ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের ওপর আর্থিক চাপ যেমন কমে, তেমনি ঈদের আগে সবাই বাড়তি আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। বর্তমানে লোকজনের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে মাংস বা গোশত সমিতি। ভ্যান চালক উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মো. টোকন শেখ। পরিবারের সব খরচ মিলিয়ে তাকে অনেকটা নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থায় সংসার চালাতে হয়। ঈদ এলে পোশাকসহ সব কেনাকেটা শেষে একদমই খালি হাত এরই মধ্যে আদরের সন্তানদের বায়না থাকে ঈদের দিন গোশত খাওয়ার। ঈদের দিনে সন্তানদের গোশত খাওয়ানোর ইচ্ছা থাকলেও সাধ্যে কুলায় না। এ কারণে গত দুই বছর যাবৎ নয়াপাড়া ‘গোশত সমিতির সদস্য হয়েছেন। নয়াপাড়া গোশত সমিতির মূল উদ্যোক্তা মো. সারোয়ার হোসেন জানান, এবার সমিতির ৬৩ জন সদস্য প্রতিমাসে ২০০ টাকা করে অর্থ জমা রেখেছেন। এরই মধ্যে গরু কেনা হয়েছে, আগামিকাল কিংবা পরের দিন জাবাই করে মাংস সমিতির সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। বাজার দরের চেয়ে অনেক কম দামে এবং এক সাথে বেশি পরিমাণ গোশত পেয়ে প্রত্যেকেই খুব খুশি হবেন আশা করি। শবেকদরের দিন থেকে শুরু হয় সমিতির পশু জবাইয়ের কাজ। চলে ঈদের দিন পর্যন্ত। এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু বলেন, এটা খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ। সকল শ্রেণির লোকজনের অংশগ্রহণে এ ধরনের গোশত সমিতি সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে সকলের মধ্যে ঈদের আনন্দটাও অনেক বাড়িয়ে দেয়। 
জমি নিয়ে বিরোধ, বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন
দীর্ঘদিনের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের মারধরে ছোট ভাই কহেল উদ্দিন (৬০) নিহত হয়েছেন। সোমবার (১১ মার্চ) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।  নিহত কহেল উদ্দিন মুন্সী মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের মধুরচর গ্রামের মৃত ইন্তাজ উদ্দিন মুন্সীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, নিহত কহেল মুন্সী ও তার বড় ভাই ইসলাম মুন্সীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত রোববার দুপুরে কহেল মুন্সী ও তার প্রবাসফেরত ছেলে শাহানুর বসতবাড়ির সীমানা পরিষ্কার করতে যান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে বড় ভাই ইসলাম মুন্সী (৬৫), তার ছেলে হৃদয় (২৪), স্ত্রী কুলসুম (৫৫), মেয়ে রোজিনা (২৮) ও নাতনি কণক (১৮) লাঠিসোঁটা নিয়ে কহেল মুন্সী ও তার ছেলে শাহানুরকে মারধর করে। সেই সঙ্গে অসুস্থ স্ত্রী সাফিয়া খাতুনকেও প্রহার করেন তারা। এতে কহেল মুন্সীসহ তার পরিবারের তিনজনই মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা আরও জানান, আহতদের মধ্যে কহেল মুন্সী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। অপর আহতরা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। নিহত কহেল মুন্সীর মেয়ে রওশন আরা বলেন, দিন-দুপুরে আমাদের পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিংগাইর থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শাশুড়িকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করল পুত্রবধূ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পারিবারিক কলহের জেরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শ্বশুরও।  অভিযুক্ত পুত্রবধূ আইরিন আক্তারকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার জামসা ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত তহুরা বেগম (৫০) ওই গ্রামের সোনামুদ্দিন বিশ্বাসের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, মাত্র আড়াই মাস আগে নিহত তহুরা বেগমের ছেলে রাসেল বিশ্বাসের সঙ্গে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা গ্রামের আইরিন আক্তারের বিয়ে হয়। নয় দিন আগে ছেলে বিদেশে গেছেন। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি বউয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। মঙ্গলবার রাতে শ্বশুর ঘুমিয়ে যাওয়ার পর শাশুড়ি ও ছেলের বউ ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হলে শাশুড়িকে টর্চলাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন পুত্রবধূ আইরিন। এরপর চিৎকার দিলে মুখ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এতে তার হাত, মুখ, মাথা ও গলায় জখম হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর পুত্রবধূ শাশুড়ির মরদেহ ঘর থেকে টেনে বের করে বারান্দার টয়লেটে নিয়ে আসেন। সেখানে রক্তমাখা কাপড় পরিবর্তন করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে টেনে ঘরের বাইরে বের করা হয়। এ সময় শ্বশুরের ঘুম ভেঙে গেলে তিনি ঘটনা টের পান। এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন পুত্রবধূ। মুখে জখম হওয়ার পর জোর করে ছুরি ছিনিয়ে নেন শ্বশুর সোনামুদ্দিন। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে পুত্রবধূকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। সিংগাইর থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত আইরিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার করেছেন নিহতের স্বামী।
মমতাজের কর্মীদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ 
মানিকগঞ্জ-২ আসনের পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগমের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর লোকজনের বিরুদ্ধে।  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পূর্বভাকুম এলাকায় নিজ বাড়ির উঠানে কর্মীসভায় মমতাজ বেগম এমন অভিযোগ করেন।  আরও পড়ুন : শপথ নিলেন নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা   মমতাজ বেগম বলেন, নির্বাচনের রাত্রি থেকে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর লোকজন আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা করেছে। শিশু নারীরাও হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। মমতাজ বেগম বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে ককটেল ফোটাচ্ছে। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে। তারা সিংগাইর পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল, তার স্ত্রী ও মেয়ের ওপর হামলা করেছে। চান্দহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মুরগির খামারে আগুন দিয়েছে, জয়মন্টপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসলামকে তারা মারধর করেছে। সে কোন রকমে জীবন নিয়ে পালিয়েছে। আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব : মোরশেদ আলম   মমতাজ বেগম বলেন, সিংগাইর উপজেলার চান্দহর, জামির্তা, তালেবপুর, জামশা, সিংগাইর পৌরসভা, হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, বয়রা, বলধরা এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমাদের অন্তত ৫০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। আমরা থানার ওসি ও এসপি সাহেবকে জানিয়েছি। ডিএমপির কমিশনারকে জানিয়েছি। থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মমতাজ বেগম বলেন, আপনাদের কারও ওপর হামলা হলে, আঘাত করলে আমাদের জানাবেন। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হলে আমরাও বসে থাকবো না। তবে, আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আপনাদের কারও ওপর হামলা হলে আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সম্মিলিতভাবে আপনাদের পাশে দাঁড়াবো। ভয় পাবেন না। তার এই কর্মীসভায় আরও বক্তব্য রাখেন পরাজিত কেটলী প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক দুবারের সিংগাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সিংগাইর পৌরসভার মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমানসহ হামলার শিকার নেতাকর্মীরা।  এই কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
মমতাজের ৩ বোন সমর্থন দিলেন স্বতন্ত্রকে
মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রার্থী ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের পাশে নেই তার তিন সৎ বোন।  শনিবার রাত ১০টার দিকে সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের পূর্বভাকুম ভেঙা মার্কেটে উঠান বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ টুলুকে ফুলের মালা দিয়ে সমর্থন জানান মমতাজের তিন বোন। তারা হলেন- রেহেনা খাতুন, জাহানারা ও জয়মন্টপ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য শাহনাজ পারভীন। তারা মমতাজের প্রয়াত বাবা মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রীর সন্তান। উঠান বৈঠকে মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী টুলু বলেন, আমি মমতাজের তিন বোনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পূর্বভাকুম গ্রামবাসীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি। এতে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, জয়মন্টপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহাদৎ হোসেন, মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, ইউপি সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আবুল মান্নান সিকদার, মনসুর হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল করিম বক্তব্য দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মমতাজ বেগম। তবে এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ টুলু।  পরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।