• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
‘আমার মৃত্যুর জন্য জাহেদা দায়ী, জীবনটা নষ্ট করেছে কাওছার’
সীমান্তে ফেলানী হত্যা: ১৪ বছরেও বিচার পাননি মা-বাবা
‘আমার চোখের সামনে মেয়েটাকে পাখির মতো গুলি করে মারছে বিএসএফ। কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখছে। মেয়েটা পানি পানি করতে করতে ছটফটাইয়া মারা গেছে। এক ফোঁটা পানি দেয় নাই বিএসফ। অথচ খুনি বিএসফ অমিয় ঘোষের বিচার করলো না ভারত সরকার। এইটা কোন বিচার হইলো, এইটা কোন ধরনের কোর্ট। একজন মানুষ খুন কইরাও পার পায়। এমন বিচার দেখি নাই।’  সোমবার (৬ জানুয়ারি) এমন ভাবেই আক্ষেপ করে বলছিলেন সীমান্তে বিএসএফের হাতে হত্যার শিকার কিশোরী ফেলানীর বাবা।   আজ ৭ জানুয়ারি। সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ১৪ বছর। ২০১১ সালের এই দিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-র গুলিতে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয় নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনীটারী গ্রামের নূরুল ইসলামের কিশোরী মেয়ে ফেলানী। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকে ফেলানীর মৃত দেহ। গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। পরে বিএসএফ এর বিশেষ কোর্টে দুই দফায় বিচারিক রায়ে খালাস দেয়া হয় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে। এ রায় প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মাসুম এর সহযোগিতায় ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টে রিট আবেদন করে ফেলানীর পরিবার। কিন্তু ১৪ বছরেও এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার। কলোনীটারী গ্রামের দরিদ্র নুরুল ইসলাম পরিবার নিয়ে কাজ করতেন ভারতের বঙ্গাইগাঁও এলাকায়। নূরুল ইসলামে বড় মেয়ে ফেলানীর বিয়ে ঠিক হয় বাংলাদেশে। বিয়ের উদ্দেশে নিজ দেশে আসতে গিয়ে ৭জানুয়ারী শুক্রবার ভোর ৬টা ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্তে মই বেয়ে কাঁটাতার টপকানোর চেষ্টা করে ফেলানী। এসময় ভারতীয় বিএসএফ’র গুলিতে বিদ্ধ হয় সে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আধাঘণ্টা ধরে ছটফট করে নির্মমভাবে মৃত্যু হয় কিশোরী ফেলানীর। এর পর সকাল পৌনে ৭টা থেকে নিথর দেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকে দীর্ঘ সাড়ে ৪ঘন্টা। এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী তোলপাড় শুরু হলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। বিএসএফ এর এ কোর্টে সাক্ষী দেন ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম ও মামা হানিফ। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামী অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিএসএফ এর বিশেষ কোর্ট। পরে রায় প্রত্যাখ্যান করে পুন:বিচারের দাবী জানায় ফেলানীর বাবা। ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পূর্ন:বিচার শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। ২০১৫ সালের ০২ জুলাই এ আদালত পুনরায় আত্মস্বীকৃত আসামী অমিয় ঘোষকে খালাস দেয়। রায়ের পরে একই বছর ১৪ জুলাই ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন করে। ওই বছর ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮  সালে কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। পরে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ করোনা শুরুর আগে শুনানির দিন ধার্য হলেও শুনানি হয়নি এখনো। তবে আজ ৭ জানুয়ারি শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানতে পেরেছে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। এদিকে মেয়ের হত্যাকারীর বিচার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ফেলানীর পরিবার। ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ১৪ বছর অপেক্ষা করেছি ফেলানী হত্যার বিচারের জন্য। আজ পর্যন্ত বিচার পেলাম না। মেয়েটার মুখ চোখে চোখে ভাসে। কি কষ্টটা পাইয়া আমার মেয়েটা মারা গেছে। মরার আগে একটু পানি চাইলেও তারা পানি দেয় নাই। ভারত সরকার খুনিকে খালাস দিছে। সে সময় হাছিনা সরকার এ বিচার চায় নাই। সরকার যদি বিচারটা চাইতো তাহলে বিচারটা হইতো। ফেলানী হত্যার বিচারটা হইলে এখন আর সীমান্তে মানুষ মরতো না। ফেলানী মরার পর সরকারের কত মানুষ বাড়িতে আসতো। এটা দিবে সেটা দিবে। কিন্তু তিন লাখ টাকা ছাড়া কিছুই দেয় নাই। আগে ফেলানীর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হলেও গত বছর থেকে সেটাও হচ্ছে না। নুতুন সরকারের কাছে দাবী যাতে ফেলানী হত্যার বিচারটা পাই। মরার আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে চাই। ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ফেলানী হত্যার বিচার পাই নাই। নুতুন সরকার যেন বিচারটা করে দেয়। মেয়ে হত্যার বিচারটা যেন পাই।   ফেলানী হত্যার আইনি কার্যক্রমে নুরুল ইসলামের সহায়তাকারী কুড়িগ্রামের আইনজীবী  এস,এম,আব্রাহাম লিংকন জানান, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যার রিট আবেদনটির শুনানি ৭ জানুয়ারি হতে পারে। এ রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। ফেলানই হত্যার বিচারের মধ্য দিয়ে সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকরা সুরক্ষিত হবে। আরটিভি/এসএপি
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই
নাগেশ্বরীতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার  
কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ 
শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ
উলিপুরে যুবদল নেতা নিহত, প্রতিপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিপক্ষ গ্রুপের ঘুষিতে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম (৩৮) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উলিপুর থানা চত্বরে এক সালিশ বৈঠকে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তিনি মারা যান। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জিল্লুর রহমান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষে আশরাফুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেলে তার সঙ্গীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে উলিপুর থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত আশরাফুল উলিপুর পৌরসভার কাজীর চক এলাকার আয়নাল হক ওরফে ডিস আয়নালের একমাত্র ছেলে এবং জেলা বিএনপির সদস্য তাসভীর উল ইসলামের অনুসারী।     এ দিকে আশরাফুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধরা লাঠিসোঁটা নিয়ে শহরের শুভেচ্ছা হোটেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়াও রাত ৯টার দিকে অপর নেতা আব্দুল খালেকের অনুসারী জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানার উলিপুর মধ্য বাজারস্থ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ২টি গরুসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুটপাট ও উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ফিরোজ কবীর কাজলের বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। উভয় পক্ষ সংঘর্ষ ও ভাঙচুর করে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি যৌথ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।  এ ব্যাপারে উলিপুর থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর উলিপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের মধ্যে খালেক গ্রুপ ও তাসভীর গ্রুপ নামে উপদলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নেয়। ফলে কেউ কেউ আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে ওঠে।  এ দিকে ২৭ ডিসেম্বর রাতেই ফিরোজ কবীর কাজলকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে নিহতের বাবা আয়নাল হক একটি হত্যা মামলা দায়ের থানায় করেছেন। শনিবার ময়নাতদন্তের পর জানাজা শেষে কাজীরচক কবরস্থানে নিহতের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।  আরটিভি/এমকে
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১০.৪ ডিগ্রিতে
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা গত দুদিনে আরও বেড়েছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাতভর ঠান্ডা এবং সকাল দশটা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে গোটা জনপদ। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত দুদিনের চেয়ে আরও ৩ ডিগ্রি কমেছে। এটি চলতি শীত মৌসুমে সবচেয়ে নিম্ন জেলার তাপমাত্রা। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। শীতের ঠান্ডায় যুক্ত হয়েছে হিমেল বাতাস। বিশেষ করে জেলার ১৬টি ছোটবড় নদী বিধৌত জেলার চর ও দ্বীপচরের বাসিন্দারা নদ-নদীর হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন। ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ। অনেকেই পরিবারের আয়-রোজগারের কথা ভেবে শীতের তীব্রতাকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকালে দেরিতে হলেও কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। সূূর্যের আলোর উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে নিম্নগামী হতে থাকে তাপমাত্রা। এতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছেন। অন্যদিকে, জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি ও জ্বরসহ শীতের ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১৫ দিন ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১১-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। তবে গত দুদিনে তাপমাত্রা অনেক কমে এখন ১০ ডিগ্রির ঘরে চলে এসেছে। আরও তাপমাত্রা কমে মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের উপজেলা পর্যায়ে নগদ ২৭ লাখ টাকা এবং ২০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও সরকারিভাবে বরাদ্দ এলে সেগুলো দ্রুত বিতরণ করা হবে। আরটিভি/এস
নসিমন খাদে পড়ে প্রাণ গেল চালকের 
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় নসিমন উল্টে খাদে পড়ে এক চালক নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ভূরুঙ্গামারী থেকে বাগভাণ্ডার যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত তুফান ইসলাম রাসেল (২৫) ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পূর্ব বাগভাণ্ডার গ্রামের আজিজ মিয়ার ছেলে। ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম স্থানীয়দের বরাতে বলেন, রাসেল তার গাড়ি নিয়ে ভুরুঙ্গামারী থেকে বাগভাণ্ডার যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আরটিভি/এএএ/এস
দুই বছর পর আবারও কুড়িগ্রামে মিলল পাতি হাঁসের কালো ডিম
পাতি হাঁস সাধারণত সাদা ডিম দেবে। কিন্তু সে ডিম যদি হয় কালো তাহলে কৌতূহল সৃষ্টি হবেই। এই হাঁসের কালো ডিম দেওয়ার ঘটনায় দেশে প্রথম আলোচনা শুরু হয় ২০২২ সালে। সেবার দেশের দক্ষিণের জেলা ভোলার চরফ্যাশন ও উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর দুটি স্থানে পাতি হাঁসের কালো ডিমের সন্ধান মেলে। বিষয় দুটি আন্তর্জাতিক ও দেশে গণমাধ্যমে আলোচনা সৃষ্টি করে। প্রায় দুই বছর পর আবার কুড়িগ্রামে দেখা মিলেছে হাসের কালো ডিম। এ কালো ডিম নিয়ে স্থানীয় মানুষের কৌতূলের শেষ নেই। ভিড় করে আসছেন দেখতে। এবার এই কালো ডিমের দেখা মিলেছে নাগেশ্বরীর উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সুবলপাড় পশ্চিম বিষ্ণুপুর এলাকার মাছুম মিয়া ও শিউলি দম্পত্তি বাড়িতে। এ দম্পতি বাড়িতে ৬টি দেশি জাতের পাতি হাঁস পালন করছেন। কয়েকদিন ধরে হাঁসগুলো সাদা ডিম দিলেও গত ৯ ডিসেম্বর হাঁসের খোয়ারে একটি কালো ডিম দেখতে পায় তাদের ছেলে সিয়াম। সাপের ডিম ভেবে ভেঙে ফেলে হয় সেটি। কিন্তু পরপর আরও তিনটি কালো ডিম খুপড়িতে। ধারণা করা হচ্ছে, ছয়টি হাসের মধ্যে যেকোনো একটি হাঁস চারটি কালো ডিম দিয়েছে। পাতি হাস কালো ডিম দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই আসছে এই কালো ডিম দেখতে। স্থানীয় জহুরুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, মানিকসহ অনেকেই জানান, হাসের দেওয়া কালো ডিম এর আগে তারা দেখেননি তারা। হাস সাদা ডিম দেওয়ার পরিবর্তে কালো ডিম দিচ্ছে এরকম ঘটনা তাদের জানা নেই। এটিই দেখা তাদের জীবনের প্রথম ঘটনা।  তারা জানান, কালো ডিম দেখে আসলেই তারা অভিভূত। হাসের মালিক মাছুম মিয়া জানান, প৯ ডিসেম্বর প্রথম কালো ডিমটি দেখতে পায় তার ছেলে সিয়াম। সেটা সাপের ডিম ভেবে ভেঙ্গে ফেলে দিয়েছে। পরে তিন দিনে আরো তিনটি কালো ডিম দিয়েছে হাঁস। এর মধ্যে প্রথম তিনটি কুচকুচে কালো হলেও শেষেরটা একটু হালকা কালো। এই কালো ডিম দেখে তারা অবাক হয়েছেন। মাসুমের স্ত্রী শউলি পারভীন জানান, দীর্ঘদিন থেকে হাঁস পালন করছেন তিনি। তবে কখনও কালো ডিম দিতে দেখেননি তিনি। এবার ৬টি হাঁস রয়েছে তার। এই হাঁসগুলোর মধ্যে কোন হাসটি কালো ডিম দিয়েছে তা জানা যায়নি। সবগুলো হাঁস সুস্থ্য স্বাভাবিক রয়েছে। নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ কোকিল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, সাধারণত হাঁসের সাদা ডিম দেওয়ার কথা। কালো ডিম দেওয়ার ঘটনা বিরল। জিনেটিক্যাল সমস্যার কারণে ডিমের রং কালো হতে পারে। এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। তবে খোলস কালো হলেও ডিমের পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে।  এবার শুধু মাছুম মিয়ার বাড়িতেই নয় ডিসেম্বরের শুরুতে নাগেশ্বরী সদরের জাকির হোসেন জুয়েলের বাড়িতেও দুটি কালো ডিম দেয় একটি পাতি হাঁস। এর আগে ২০২২ অক্টোবর মাসে  উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমের বাড়িতে তিনটি কালো ডিম দেয় একটি হাঁস।  আরটিভি/এমকে
শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি
ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। এ জেলায় রাতে প্রচণ্ড ঠান্ডার সঙ্গে পড়ে ঘন কুয়াশা। কুয়াশা থাকছে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত। ফলে রাতের পাশাপাশি দিনভর অনুভূত হয় শীত। এতে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। বিপাকে পড়েছে নদীপাড় ও চরাঞ্চলসহ ছিন্নমূল মানুষ। এ ছাড়া চরম বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।  শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছে। এদিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে কষ্টে পড়েছে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।  কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়িচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি ঠান্ডা। হাত-পা বরফ হয়ে যায়। কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।  কৃষক আব্দুর রহিম ও রফিকুল ইসলাম জানান, বোরো বীজতলা তৈরির কাজ করছি। পানিতে হাত দেওয়া যায় না এতো ঠান্ডা। তারপরেও কাজ ছাড়া উপায় নাই। কুড়িগ্রাম আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। এ মাসের ১৫ তারিখের মাঝামাঝি সময়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  আরটিভি/এএএ/এস
ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ, প্রাণ গেল মা-মেয়ের
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৩ জন বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের ঘুন্টিঘরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়নের গয়নারকুটি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মমেনা বেগম ও মেয়ে মুন্নি আকতার।  পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনাহাট থেকে অটোরিকশায় মোহাম্মদ আলী তার স্ত্রী মমেনা বেগম (৫৫) মেয়ে মুন্নি আকতার (২৫) ও মেয়ের জামাতা শহর (৩০) আলীকে নিয়ে ভূরুঙ্গামারীতে যাচ্ছিলেন। ঘুন্টিঘর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। অটোতে থাকা চালক বাবুসহ (১৮) চার যাত্রী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মুন্নিকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে মমেনা বেগমও মারা যান। আর আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে।  ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। তবে ট্রাকটিকে আটক করে স্থানীয়রা।   আরটিভি/এএএ/এআর