• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
কলেজছাত্র হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার 
‘পেটে গুলি থাকায় আমার বাবা কবরে কষ্ট পাইতাছে’
রাজধানীর উত্তরায় গত ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে গুলিতে নিহত হন মাদরাসা শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান (২১)। বুধবার (৪ আগস্ট) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়নের ফুলমালীচালা গ্রামে সাদিকুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও শোক কাটেনি পরিবারে। বিলাপ করতে করতে সাদিকুরের মা শাহানাজ বেগম বলেন, ‘আইজক্যা দেড় মাস অইলো আমার বাবা শহীদ অইছে। পুলিশের করা গুলি পেটে নইয়া (নিয়ে) আমার বাবা কবরে শুইয়া রইছে। আমার মুনে কয়, পেটে গুলি থাকায় আমার বাবা কষ্ট পাইতাছে।’  তিনি বলেন, ‘সাদিকুর কোরআনের হাফেজ ছিলেন। বড় মাওলানা হওয়ার আশায় ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে ওই মাদরাসায় ভর্তি হয়েছিলেন ছেলে। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে।’ জানা গেছে, সাদিক ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে জামিয়া দ্বীনি ইসলামিয়া মাদরাসার কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা লুৎফর রহমান কুয়েতপ্রবাসী। সাদিকুরকে না পেয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মাকে নিখোঁজের বিষয়টি জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরদিন খবর আসে, আন্দোলনে গিয়ে নিহত হয়েছেন সাদিকুর। পরে ২১ জুলাই সকালে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়। সাদিকুরের মামা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘সাদিকুর তার এক বন্ধুর সঙ্গে উত্তরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেন। বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে সাদিকুর রাস্তায় ঢলে পড়েন। পরে আন্দোলনকারীরা একটি রিকশায় করে আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। স্বজনেরা কেউ না থাকায় মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল।’ চাচা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘গুলি পিঠ ভেদ করে নাভির পাশে আটকে ছিল। পেটে গুলির অস্তিত্ব (বুলেট) সবাই দেখেছে।’ সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, ‘পরিবারটিকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে বেশ কিছু নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে।’ মামলা করার বিষয়ে সাদিকুরের মা শাহানাজ বেগম বলেন, ‘অনেকেই তাকে কল করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা করতে বলছেন। তবে মামলা করবেন কি না, এখনো সিদ্ধান্ত নেননি।’
টাঙ্গাইলে জেলা আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ২৩০ জনের নামে মামলা
আ.লীগের প্রভাব খাটিয়ে বিধিবহির্ভূত ৩ প্রকল্প দেন চেয়ারম্যান
টাঙ্গাইলে গোসলে নেমে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল হেলপারের 
টাঙ্গাইলে বাসচাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত
টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার 
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার শাখা লৌহজং নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর মোক্তাদির (৯) নামে একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।  শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তার মরদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে শিশুটি নিখোঁজ হয়। মোক্তাদির ভূঞাপুর পৌর এলাকার তেঘুরি গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে বাড়ির পাশে লৌংজং নদীতে গোসলে নামে মোক্তাদির। সাঁতার না জানায় পানিতে ডুবে যায় সে। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পায়নি। বিষয়টি টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসকে জানালে শনিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল নদী থেকে মোক্তাদিরের মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ভূঞা বলেন, শুক্রবার বিকেলে ভূঞাপুর উপজেলার তেঘুরি গ্রামে লৌহজং নদীতে গোসলে নেমে এক শিশু নিখোঁজ হয়। পরে শনিবার সকালে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। 
পুলিশের গুলিতে নিহত পলাশসহ আহত ১২ পরিবারকে সহায়তা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শহীদ ফিরোজ তালুকদার পলাশসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আহতদের মধ্যে ১২টি পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন (স্বপন ফকির)।  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান তারেক রহমানের নির্দেশে নিহত ও আহত পরিবারের মধ্যে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে প্রথমে ভূঞাপুর পৌর শহরের ঘাটান্দি গ্রামের নিহত পলাশের পরিবারের হাতে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের নেতা মাহমুদুল হাসান শরীফ।  এরপর নিহত শহীদ ফিরোজ তালুকদার পলাশের পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে ছুটে আসেন উপজেল নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ। তিনি ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডকে সরকারিভাবে পলাশ চত্বর হিসেবে ঘোষণার বিষয়ে এবং শহীদ পলাশ নামে একটি ফান্ড গঠনের আশ্বাস দেন। এ দিকে শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর, মির্জাপুর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলার অন্যান্য আহতদের মাঝে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। নিহত ও আহত পরিবারের সদস্য আর্থিক সহায়তা পেয়ে অর্থদাতাদের ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়াও যারা গুলি করে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে ও আহত করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবি জানায় পরিবারগুলো। এ সময় টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দূর্জয় হোড় শুভ, সদস্য সচিব মো. আব্দুল বাতেন, বৈষম্যবিবোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক যোবায়ের, মোদ্দাসের, টাঙ্গাইল জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মনিরুলসহ জেলা-উপজেলার ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হাসিনার পতনের পর বন্ধ হয়েছে অবৈধ বালু ঘাট, খুশি স্থানীয়রা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। সেই সময় থেকেই বন্ধ রয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বালু ঘাট। এতোদিন বালু ঘাটগুলো আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দখলে থাকলেও ক্ষমতা হারানোর পর হামলা-মামলার ভয়ে অনেকই গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। ফলে বন্ধ রয়েছে ঘাটগুলোর কার্যক্রম। সিরাজগঞ্জ মহাল থেকে নামেমাত্র বালু ক্রয় করে নিয়ে আসলেও প্রভাব আর ক্ষমতার দাপটে বেশির ভাগ বালু অবৈধভাবে যমুনা নদী থেকে উত্তোলন করা হতো৷  এদিকে বিগত বছরগুলোতে বালু ঘাটের দখল নিয়ে প্রায়ই ঘটতো ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা। যমুনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলণের ফলে ভাঙনে বিলীন হতো ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। চোখের সামনে স্থাপনা বিলীন হলেও প্রতিবাদ করার সাহস ছিলোনা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর। দেড় যুগে সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার। বেশির ভাগ পরিবারের ঠাঁই হয়েছে গোবিন্দাসী-যমুনাসেতু কন্ট্রাক্ট-৭ বাঁধের পাশে। এছাড়া বালুবাহী লাইসেন্সবিহীন ১০ চাকার হাইড্রোলিক ট্রাকে প্রাণ হারিয়েছে অনেকেই। ধুলাবালিতে দুষিত হতো পরিবেশ।নষ্ট হতো গ্রামীণ, আঞ্চলিক ও মহাসড়কগুলো। এতোকিছুর পরও এসব অবৈধ বালুর ঘাট চলছিলো ক্ষমতার দাপটে।  সরজমিনে জানা গেছে, উপজেলার নিকরাইল, গোবিন্দাসী, অর্জুনা ও ফলদা ইউনিয়নে যমুনা নদী ঘিরে ৩০টির মতো অবৈধ বালুর ঘাট গড়ে উঠেছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এসব ঘাট থেকে শত শত ট্রাকযোগে বালু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। ঘাটগুলোতে যেতে যাতায়াতের রাস্তা তৈরি হয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষের পুকুর ভরাট করে। যদিও এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষকে। বালুর ট্রাক যমুনা সেতু-ভূঞাপুর সড়কে চলাচল করায় সবসময় যানজট লেগে থাকতো। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রী ও চালকদের। ধুলায় গাছপালা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়রা ঠান্ডাজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতো। এছাড়া বালুবাহী ট্রাক চলাচল করায় সড়ক, মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি নম্বরবিহীন হাইড্রোলিক ট্রাকের চালকরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে অনেক।  এ দিকে অবৈধ এসব বালুর ঘাট দখলে নিতে প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধিরা প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত হতো। ২০১২ সালের বালু মহালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যমুনা নদীতে প্রতিপক্ষের হামলায় সিরাজগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও তার শ্যালক শাকিল আহমেদ টিক্কা নিহত হন। এরপর বিভিন্ন সময়ে বালুর ঘাট এলাকা থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বালু ঘাটকে কেন্দ্র করে এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মহড়া ও মাদকের বিস্তার ঘটে।  একটি সূত্র জানায়, ২০০১ সাল থেকে কোনো বালুর ঘাট ইজারা দেওয়া হয়নি। সরকারি কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এতোদিন অবৈধভাবে ঘাট স্থাপন করে বালু বিক্রি আসছিলো ক্ষমতাসীনরা।  স্থানীয়রা জানান, যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। প্রতিবাদ করতে গেলেই নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়া হতো। রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধ রয়েছে। নতুন সরকারের কাছে তাদের দাবি যাতে করে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে।  এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল বিষয় মনিটরিং করা হচ্ছে।’ 
আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবিতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি।  বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলটি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।  এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি লিংকন রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ জামিল মিন্টু বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানো শেখ হাসিনা সরকার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রেখেছে। তিনি একজন সাদা মনের মানুষ। অবিলম্বে তার মুক্তি চাই।
টাঙ্গাইলে সাবেক দুই মন্ত্রীসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে স্কুলছাত্র মো. মারুফ মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ টাঙ্গাইলের সাবেক ছয় এমপির নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে।  রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে সদর থানায় মামলাটি করেছেন নিহত মারুফের মা মোরশেদা বেগম। মামলায় ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইল— ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ আসনের সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয়, টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাবেক এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সহসভাপতি আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরণ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ফারুক, দপ্তর সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা, উপদপ্তর সম্পাদক আনন্দ মোহন দে, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ জামান সোহেল, আব্দুর রৌফ, যুবলীগ নেতা আতিকুর রহমান মোরশেদ, ফারুক হোসেন মানিক, ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ এবং গোলাম কিবরিয়া বড় মনি। টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি লোকমান হোসেন বলেন, শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
গুলিতে নিহত ইমনের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন সম্পন্ন 
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ইমনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।  রোববার (১৯ আগস্ট) রাত ৯টায় গোপালপুর উপজেলার নলিন হাই স্কুল মাঠে জানাজা নামাজে হাজারো মানুষের ঢল নামে। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত ইমনের ছোট ভাই হাফেজ সুমন জানাজা নামাজ পড়ান। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর ও বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা ও উপজেলার সমন্বয়কবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ জানাজায় অংশ নেয়।  উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন ইমন। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে মারা যান তিনি।