• ঢাকা সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১
logo
দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রদলকে সজাগ থাকতে হবে: টুকু
যমুনা রেলসেতুতে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলল ট্রেন
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতু দিয়ে আজ রোববার পূর্ণগতিতে ট্রেন চলছে। পরীক্ষামূলকভাবে এই ট্রেন আগামীকাল সোমবারও চলবে। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছিল। তবে এবার ট্রেনটি পূর্ণ গতিতে চলাচল করবে। রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় চারটি কোচ ও একটি ইঞ্জিন সংযোজিত দুটি ট্রেন সেতুর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে একযোগে দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু করে। পরে পর্যায়ক্রমে ৪০ কিলোমিটার থেকে ধাপে ধাপে বাড়ানো হয় গতি। এক পর্যায়ে কাঙ্ক্ষিত গতি ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে সক্ষম হয় পরীক্ষামূলক ট্রেন দুটি। রেল সেতুর প্রকল্প পরিচালক আবু ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, গত ২৬ নভেম্বর আমরা সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিসীমায় রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হয়েছিল। আজ পূর্ণগতি দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আগামীকাল সোমবারও রেল সেতুতে পূর্ণগতিতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালিয়ে ভুলত্রুটি শনাক্ত করা হবে। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই রেলসেতুটি উদ্বোধন করা হবে। এ রেল সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে। সেতুটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই জয়েন্টভেঞ্চার। আরটিভি/এএএ/এস 
টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ২
টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
গভীর রাতে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ টুকুর 
টাঙ্গাইল জেলা গণঅধিকার পরিষদের কমিটি গঠন 
লেবাস পাল্টে ডাকাতি করতো ওরা 
টাঙ্গাইলে ডাকা‌তির প্রস্তু‌তির সময় নারীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার ক‌রে গো‌য়েন্দা পু‌লিশ (ডি‌বি)। পু‌লিশ জা‌নি‌য়ে‌ছে, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রা‌তে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপ‌জেলার সোহাগপুর এলাকার এক‌টি হিন্দু বা‌ড়ি‌তে ডাকা‌তির প্রস্তু‌তি নেওয়ার সময় পু‌লিশ তাদের আটক ক‌রে। আটক নারী সদস্যদের কপা‌লে টিপ ও সিঁধিতে সিদু‌র ‌দেওয়া ছিল। এ ঘটনায় শনিবার বিষয়টি জা‌নি‌য়ে‌ছে পুলিশ।  রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু।  এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপ‌রিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের মৃত খালাই মিয়া ওরফে কালাম মিয়ার ছেলে সুরত মিয়া (৩৮), একই গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে তাসলিমা (৩২), মৃত ইউনুস আলীর মেয়ে আসমা বেগম (৩০), মৃত কালাম মিয়ার মেয়ে মোছা. আলেয়া (৩৭), আব্দুল কাদিরের মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২১), নুরু মিয়ার মেয়ে মোছা. রিফা আক্তার (২৬), একই উপজেলার সরাইল গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের মেয়ে আকলিমা বেগম (৪০), একই জেলার সরাইল উপজেলার বন্দরআটি (সাবদু মিয়ার বাড়ী) গ্রামের মৃত সমুজ আলীর মেয়ে সেলিনা বেগম (৩২), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামের রমজান মিয়ার মেয়ে জুলেখা বেগম (৩১) এবং ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল টেকিপাড়া গ্রামের ছামসুল হকের ছেলে মো. সেলিম সরকার (৩৭)। জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা গাজীপুরের সালনা থেকে শুক্রবার রাতে একটি মাইক্রোবাসে করে মির্জাপুরের সোহাগপুরে এসে একটি হিন্দুবাড়িতে ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছিল। ডাকাত দলের নারী সদস্যরা শাখা ও সিঁদুর পরে সনাতন ধর্মাবলম্বী সেজেছিল। এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি উত্তর) ওসি এ বি এম এস দোহারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত গাড়িটিও জব্দ করা হয়। তি‌নি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতির আগে নানা তথ্য সংগ্রহ করে নিজেদেরকে সেভাবে প্রস্তুত করে নেয়। পরে কৌশলে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করে চলে যায়। ডাকাত দলের নেপথ্যে জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আরটিভি/এমকে
যারা অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়েছে তাদের অর্থ ফেরাতে চেষ্টা চলছে: গভর্নর 
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেছেন, যারা অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তাদের অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আমাদের মুদ্রাস্ফীতি এখনো অনেক বেশি আছে। এটাকে কমিয়ে আনতে হবে। আশা করছি জুন মাস নাগাদ এটা স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।  শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৪০০ তম শাখা হিসেবে ঘাটাইল শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি আরও বলেন, ব্যাংক কোনো ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নয় পারিবারিক প্রতিষ্ঠান নয়। এটা সবার জন্য। আমানতকারী সবাই ব্যাংকের মালিক। দেউলিয়া হওয়ার পথে ১০ টি ব্যাংকের মধ্যে অনেক ব্যাংকই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।  বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং ডিরেরেক্টর মুহাম্মদ মনিরুল মওলা, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ।  এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর এম মাসুদ রহমানসহ আরও অনেকেই। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা, স্থানীয় ব্যবসায়ী, শুভানুধ্যায়ী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এএএ 
শেখ হাসিনা দোসরদের দিয়ে দুর্নীতির নথিপত্র পুড়িয়ে রেহাই পাবেন না: শাকিল উজ্জামান
কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর সদস্য শাকিল উজ্জামান মন্তব্য করেছেন—শেখ হাসিনার দোসররা পরিকল্পিতভাবে সচিবালয়ের ভেতরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর)  দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের পরিচিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। শাকিলউজ্জামান বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার দাস ও দোসররা এখনও দেশে রয়েছে। তারা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের দুর্নীতি ও লুটপাট এবং অপরাধ করেছে, এসব চিত্র যাতে বহির্বিশ্বে প্রচার না হয়, সেজন্য শেখ হাসিনা তার সচিবালয়ের দোসরদের দিয়ে নথিপত্রগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনা তার দোসরদের দিয়ে সচিবালয়ের দুর্নীতির নথিপত্র পুড়িয়েও অপরাধ থেকে রেহাই পাবে না। দুর্নীতির জন্য শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবার সরকার, কোন গোষ্ঠীর সরকার নয়। আমরাও চাই কিছু যৌক্তিক সংস্কার হোক। যৌক্তিক সংস্কারের পরেই নির্বাচনটা হোক। এত তাড়াহুড়ার প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা যখন রাজপথে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, তখন সচিবালয়ের ভিতর থেকেও বিভিন্ন কর্মকর্তারা ও আমলারা শেখ হাসিনার জন্য মিছিল করেছে। যে সকল কর্মকর্তা ও আমলারা শেখ হাসিনার পক্ষে বিগত সময়ে সচিবালয়ে থেকে মিছিল বের করেছে তারা এখনও কীভাবে সচিবালয়ে কর্মরত থাকে। এই সকল শেখ হাসিরার দোসদের কারণেই সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিন উদয়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক প্রিয়ম আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফাহাদুল ইসলাম ফাহাদ, সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাবেক আহবায়ক জহিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান রাসেল, ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন মিয়া, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম সিয়াম আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না ইসলাম তরী প্রমুখ। আরটিভি নিউজ/টি
মামলার তদন্ত করতে গিয়ে প্রেম, অতঃপর...
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে কলেজছাত্রী রিয়া আক্তারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম। পরে বিভিন্ন কৌশলে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন এবং বিয়ে করেন।  চলতি বছরে ৬ জুন ১৫ লাখ টাকার দেনমোহরে ঢাকার রায় সাহেব বাজারের কাজী মাওলানা মো. সাদেক উল্যাহ ভুইয়া জাহাঙ্গীর-রিয়ার বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন। সে সময় নাগরপুর থানার এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। রিয়া আক্তার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের রাজাখানের মেয়ে ও করটিয়া সাদত কলেজের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি বদলি হয়ে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানায় আসেন জাহাঙ্গীর। অন্য থানায় বদলি হওয়ার পরই কলেজছাত্রী রিয়াকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন তিনি। জাহাঙ্গীর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বলদিঘাট এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে। জানা যায়, রিয়াকে বিয়ে করার আগে থেকেই জাহাঙ্গীর বিবাহিত ছিলেন এবং তার সন্তানও রয়েছে। তবে জাহাঙ্গীর বিয়ের বিষয়টি রিয়ার কাছে গোপন রেখে ছিলেন। প্রতারণা ও তথ্য লুকিয়ে বিয়ে করার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার, ফরিদপুর পুলিশ সুপার ও নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি রিয়া।   পরে টাঙ্গাইল আদালতে যৌতুক ও নির্যাতন আইনে পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। এছাড়া ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর আলাদা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রী। লিখিত অভিযোগে কলেজছাত্রী রিয়া জানান, দেলদুয়ার থানায় একটি মামলার তদন্ত করতে দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইলে আমাদের বাড়িতে আসে এএসআই জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় আমার সাথে পরিচয় ঘটে। পরে বিভিন্ন কৌশলে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে ঢাকায় একটি কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করে। এরপর থেকেই আমরা দুইজনে একসাথে বসবাস করেছি। পরবর্তীতে নাগরপুর থানা হতে ফরিদপুরে বদলি হওয়ার পর থেকে কোনো যোগাযোগ করছে না জাহাঙ্গীর এবং তাদের বাড়িতেও আমাকে নিচ্ছেন না। পরে জানতে পারি তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তাকে তালাক দেওয়ার জন্য মোবাইলফোনে বারবার প্রাণনাশ ও মামলার ভয় দেখাচ্ছে।   ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রিয়া আক্তার বলেন, প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং তথ্য গোপন করে বিয়ে করেছে জাহাঙ্গীর। বিয়ের পর একসাথেই ছিলাম কয়েক মাস। ৫ আগস্টের পর অন্যত্র বদলি হওয়ার পরই তার আরেক বিয়ে হওয়ার তথ্য পাই। বদলি হওয়ার পর থেকেই আমার কোনো খোঁজখবর নেয় না। তার স্ত্রী ও সন্তান থাকার পরও প্রতারণা করে আমার জীবন নষ্ট করেছে। আমি তার সাথে সংসার ও স্ত্রীর মর্যাদা চাই। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। আদালতেও মামলা দায়ের করেছি। এখন তাকে তালাক দিতে বারবার হুমকি দিচ্ছে। ফলে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকারে করেন নগরকান্দা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, কাজী অফিসে গিয়ে রিয়াকে বিয়ে করেছি ঠিক আছে। আইনিভাবে বিষয়টির সমাধান করা হবে। ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফর আলী বলেন, রিয়া নামের ওই নারী থানায় এসেছিলেন। জাহাঙ্গীর তাকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানিয়েছেন। তবে ওই নারী কোনো অভিযোগ দেননি। টাঙ্গাইলে মামলা হওয়ার বিষয়ে কিছু জানা নেই। নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসীম উদ্দিন বলেন, এএসআই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় তাকে নাগরপুর থেকে বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়ার পরই জানতে পারি তিনি রিয়া নামের একজন বিয়ে করেছেন। যেহেতু নাগরপুর থানায় তিনি কর্মরত নেই সুতরাং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব না।   আরটিভি/এফআই-টি
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ জনের
টাঙ্গাইলের সখীপুরে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় সখীপুর-টাঙ্গাইল সড়কের বেড়বাড়ী এলাকায় ট্রাক চাপায় কারখানার নাইটগার্ড মামুন খান নিহত হন।  নিহত মামুন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। এ দিকে সকাল ৯টার দিকে সখীপুর থানার সামনে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী জয়েন উদ্দিন নিহত হন। তিনি মির্জাপুর উপজেলার পেকুয়া গ্রামের গনি মিয়ার ছেলে।  অন্যদিকে কুতুবপুর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে আবুবকর নামে এক অটোরিকশা চালক নিহত হন। আবুবকর উপজেলার কচুয়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। সখীপুর থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।  আরটিভি/এমকে-টি
টাঙ্গাইলে বাবা-ছেলেসহ সড়কে প্রাণ গেল ৪ জনের
টাঙ্গাইলে দুই পৃথক জায়গায় মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ও বাস চাপায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত হয়েছে।  শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে মধুপুর উপজেলার আশ্রা বাজারে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা মজিবুর রহমান ও ছেলে জাহিদুর রহমান নিহত হয়। তাদের বাড়ি বড় আশ্রা গ্রামে। একই দিন সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশেকপুর পাইপাস এলাকায় বাস চাপায় সিএনজি চালক সোহরাব হোসেন ও সিএনজি যাত্রী প্রদীপ পাল নিহত হয়। সিএনজি চালক সোহরাবের বাড়ি কালিহাতী উপজেলার পাথালিয়া গ্রামে আর প্রদীপ পালের বাড়ি সদর উপজেলার করটিয়া এলাকায়।  মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির জানান, মধুপুরের আশ্রা বাজার থেকে বাবা মজিবুর রহমান ও ছেলে জাহিদুর রহমান বাড়ি ফিরছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির অপর একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন তারা। পরে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। নিহত মজিবুর রহমান মহিষমারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও  আশ্রা বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন।  এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাসে বাস চাপায় সিএনজির চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছেস। আজ সকালে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, কালিহাতী উপজেলার সোহরাব ও করটিয়ার প্রদীপ পাল। পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেছে।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সিএনজি চালিত অটোরিকশা করটিয়া থেকে টাঙ্গাইল শহরের দিকে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে সিএনজিটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাস এলাকায় সড়ক পাড় হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় উত্তরবঙ্গগামী একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস সিএনজিটিকে চাপা দেয়। এতে সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে যায়। স্থানীয়রা সিএনজির চালক ও ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক অটো চালক সোহরাব হোসেনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। উন্নত চিকিৎসার প্রদীপ পালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এক পর্যায় প্রদীপ পাল ঢাকা পৌঁছানোর পূর্বেই মারা যায়। এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো. সৈকত হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিএনজিটি উদ্ধার করি। নিহত দুই জনের মধ্যে চালকের মৃতদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রদীপ পালের মরদেহ স্বজনরা বাড়ী নিয়ে গেছে। আরটিভি/এসএপি