• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নড়াইলে পানের বরজ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
বাগেরহাটে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে আব্দুল হাকিম জোমাদ্দার (৬২) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে এ মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল হাকিম গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সালাম ফকিরসহ ৪ জনকে আটক করেছে। আহত হলেন- হারুন জোমাদ্দার (৫০), লতিফ জোমাদ্দার (৫৫), রশিদ জোমাদ্দার (৪২), আলম হাওলাদার (৭০), লিটন হাওলাদার (৪৫), নিহতের স্ত্রী জামিলা বেগম (৫০) ও ছেলে মেহেদী হাসান (৩৫)।  জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজন আকস্মিক হামলা চালালে হাকিম জোমাদ্দার নিহত হন বলে দাবি করেছেন তার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে প্রতিবেশী শহিদুল হাওলাদার ১০-১২ জন লোক নিয়ে তার ভাই হাকিম জোমাদ্দারের ওপর প্রথম দফায় হামলা করে। আহত অবস্থায় হাকিম জোমাদ্দার চিকিৎসার জন্য রওনা হলে পথিমধ্যে তাকে ফের আটক করে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে শহিদুল হাওলাদারের লোকজন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার ফাত্তাহ্ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মারপিটে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সালাম ফকিরসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। 
ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়িতে পালিয়ে বাঁচলেন তরিকুল
সাতক্ষীরায় সড়কে ঝরল পিতা-পুত্রের প্রাণ
নড়াইলে মাদক মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ 
সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি
টানা বেশ কিছুদিনের তাপদাহের পর গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টা ১০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জেলায় ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অফিসের চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।  তিনি বলেন, কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই মধ্যরাতে ২৫ মিনিট ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মূলত ভারতে মেদিনিপুরে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল। মেঘটি জেলার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টি হয়ে ঝড়েছে এবং ছোটখাটো কালবৈশাখী ঝড়ও হয়েছে। অন্য কোনো জেলায় বৃষ্টি হয়নি। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এর আগে মঙ্গলবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে এদিন সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ওলামা কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় শেষে বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহর নিকট বিশেষ মোনাজাত করা হয়।  মুসল্লিরা চোখের পানি ফেলে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টি কামনা করেন। এরপর রাতে কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়।
সুলতান মেলায় ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই
নড়াইলে সুলতান মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) শহরের কুড়ির ডোব মাঠে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ প্রতিযোগিতা।  বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সুলতান মেলায় ঐতিহ্যবাহী এ ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়।  জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৬টি ষাঁড় অংশ নেয়। লড়াইয়ে অংশ নেওয়া প্রতিটি ষাঁড়ই ছিল সুঠাম দেহের ও বাহারি রঙের। লড়াই দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন নানা বয়সী মানুষ। এ সময় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মাঠটি।  যশোরের অভয়নগর থেকে আসা সূর্য কুমার বলেন, অনেক কষ্ট করে প্রতিবছর সুলতান মেলায় ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আসি। ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে এসেছি। সমীরণ বিশ্বাস বলেন, ষাঁড়ের লড়াই আগে অনেক জায়গায় হতো, এখন হয় না। এই সুলতান মেলায় প্রতিবছর হয়। তাই অনেক মানুষ এসেছে। ষাঁড়ের লড়াই দেখছি, খুব ভালো লাগছে।  এ দিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে হারিয়ে যাওয়া বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া উৎসবের নবজাগরণের উদ্দেশ্যে সুলতান মেলায় এসব খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।  সুলতান মেলার ‘কিউট গ্রামীণ’ ক্রীড়া উৎসব উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মন্নু বলেন, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির হারিয়ে যাওয়া যে ক্রীড়া উৎসব রয়েছে সেগুলোর নবজাগরণ সৃষ্টি করা। নতুন প্রজন্মকে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করা। তারা মাদক থেকে সরে এসে খেলাধুলা, লেখাপড়ার ভেতরে আসুক এবং নিজেরা আলোকিত মানুষ হিসেবে তৈরি হোক সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমাদের এই প্রচেষ্টা। উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল নড়াইলের সুলতান মঞ্চে ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলা মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। মেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কুড়ির ডোব মাঠে ‘কিউট গ্রামীণ’ ক্রীড়া উৎসব শিরোনামে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আগামী ২৯ এপ্রিল এ মেলা শেষ হবে।
নড়াইলে চলছে গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব
বানরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে ওঠার অংক করতে গিয়ে কল্পনায় এমন দৃশ্য হয়তো অনেকেই এঁকেছে। কিন্তু বাস্তবে তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে ওঠার মতো এমন অসাধ্য কাজ কী করেছেন কখনো? নড়াইলে এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্মজয়ন্তীতে দেখা গেলো অসম্ভব সে চ্যালেঞ্জ নিতে দুর্দান্ত শিশুদের হার না মানা প্রয়াস।  আর তা উপভোগ করতেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই। অভূতপূর্ব এ দৃশ্য নিজ চোখে অবলোকনের সুযোগ হারাতে চান না কেউই। শুধু কলা গাছ বেয়ে ওঠাই নয়। এখানে আয়োজন করা হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাড়ি ভাঙা প্রতিযোগিতা। যেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে চোখ বেছে প্রতিযোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয় হাতে একটি লাঠি দিয়ে। আর সে লাঠি দিয়ে মাটিতে রাখা হাড়ি ভাঙার চেষ্টা করে প্রতিযোগী। যদিও এই কাজটিও খুব একটা সহজ নয়। তবে সফল যিনি হচ্ছেন, তার সঙ্গে উল্লাসে মাতছেন দর্শকরাও। দারুণ এসব খেলা উপভোগ করতে আসা গ্রামবাসী মনে করে নিয়মিত এসব আয়োজন পারে যুবকদের মাদক-নেশা থেকে দূরে রাখতে।  খেলা দেখতে আসা একজন জানান, আমার খুব ভালো লাগছে। এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলে ছেলেমেয়েরা কেউই মাদকে আসক্ত হবে না। নতুন প্রজন্ম আগের দিনের খেলার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এ আয়োজন চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত।  
মেহেরপুরে গরমে বেড়েছে শরবতের চাহিদা, যত্রতত্র দোকান
দেশের যে কয়টি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে মেহেরপুর জেলা অন্যতম। তাপপ্রবাহে এ জেলার জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। গরমে তৃষ্ণা নিবারণে ঠান্ডা পানি আর শরবতের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। এতে গেল কয়েক দিনে জেলায় দেখা যাচ্ছে যততত্রভাবে শরবতের দোকান। মেহেরপুর জেলা ও উপজেলা শহরগুলোর সঙ্গে রাস্তাঘাটে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরবতের দোকান। ঠান্ডা পানি আর লেবু শরবতের পাশাপাশি কদর বেড়েছে আখের রসের। এসব শরবতের দোকানে ভিড় বাড়ছে পথচারীদের। গরমের মধ্যে ঠান্ডা পানির শরবত পানে অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। এই আশঙ্কা নিয়েও তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ ছুটছেন শরবতের দোকানে। তাই শরবতের চাহিদা আর কদর বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দোকান। গরমে ঠান্ডা পানি ও শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল আল মারুফ বলেন, প্রচণ্ড গরম থেকে এসে ঠান্ডা পানি, ফ্রিজের পানি, ঠান্ডা শরবত পান করলে সর্দি-জ্বর, গলাব্যথা ও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়বে। রোদ থেকে ছায়ায় আসার পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে পানি পান করতে হবে।  তবে ঠান্ডা পানি নয়, টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশে সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মোড়ে শরবতের দোকান দিয়েছেন অনেকে। তীব্র গরম আর প্রচণ্ড রোদের কবলে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু শারীরিক ঝুঁকি জেনেও নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ ভারী কাজ করছেন।
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি
কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত ও পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপদাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।   এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, আরও কয়েক দিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের বেশির ভাগ সময় প্রখর তাপে উত্তপ্ত থাকছে চুয়াডাঙ্গা।  চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে দেখা যায়, দিনের বেলায় সাধারণ মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষেরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। তাই প্রশান্তির খোঁজে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে জিরিয়ে নিচ্ছেন অনেক শ্রমজীবী মানুষ। এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
খাটের নিচ থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নড়াইল সদরের গোবরা গ্রামে ভাড়াটিয়ার খাটের নিচ থেকে ইতি (৩৬) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। খুন হওয়া নারীর স্বামীর নাম শফিকুল গাজী। তিনি লোহাগড়া উপজেলার মিঠাপুর মাদরাসার ইমাম হিসেবে কর্মরত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতি বেগমের কোনো সন্তান নেই। গত ১৮ এপ্রিল স্বামী শফিকুল গাজী কর্মস্থলে চলে যাওয়ার পরে তিনি একাই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। নিজ ঘরের পাশেই বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম নামে একজন ভাড়াটিয়া থাকতেন। নিহতের স্বামী বাড়িতে স্ত্রীর খোঁজ করলে তার মোবাইলে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। এ সময় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে স্ত্রীর খোঁজ নিতে চাইলে তার ঘর তালাবদ্ধ দেখে বাইরে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। দুদিন ধরে ওই নারীর বসবাসের ঘর এবং ভাড়াটিয়া মনিরুলের ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়া যায়। ২১ এপ্রিল বিকেলে ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকার লোকেরা স্বামী শফিকুল গাজী ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ভাড়াটিয়া মনিরুলের ঘরের তালা ভেঙে খাটের নিচ থেকে ইতির গলাকাটা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ওসি (তদন্ত) জামিল কবির জানান, আমরা ভাড়াটিয়া মনিরুলকে সন্দেহ করছি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।